
‘‘সাম্য হত্যায় ‘গুপ্ত সংগঠন’ জড়িত’’, ছাত্রদলের তীর শিবিরের দিকে!
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদল নেতা সাম্য হত্যার ঘটনায় ‘গুপ্ত সংগঠন’কে দায়ী করেছে ছাত্রদল। এই সংগঠনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়ার কারণেই এমন হত্যাকাণ্ড ঘটছে বলে অভিযোগ তাদের।
বৃহস্পতিবার দুপুরে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে এই অভিযোগ তোলে ছাত্রদলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা। কালো ব্যাজ ধারণ করে উপাচার্য ও প্রক্টরের পদত্যাগের দাবিও জানানো হয়।
সেখানে সংগঠনের শাখা সভাপতি গণেশ চন্দ্র রায় সাহস বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো নিরাপত্তা বলয়ের জায়গায় ছাত্রদল নেতা খুন হওয়াটা বড় প্রশ্ন। এ ঘটনা প্রমাণ করে, কোনো এক গুপ্ত সংগঠন দীর্ঘদিন ধরে এখানে অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে।”
তিনি দাবি করেন, ছাত্রলীগের ছায়াতলে থাকা একটি চক্র ৫ আগস্টের আগে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর নিপীড়ন চালিয়েছে। সেই চক্রটাই এখন গুপ্ত সংগঠনের ব্যানারে সক্রিয়।
উপাচার্যকে লিখিতভাবে জানানো হলেও ব্যবস্থা না নেওয়ার অভিযোগ করেন তিনি।
গত মঙ্গলবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাইকের ধাক্কা নিয়ে কথাকাটাকাটির জেরে ছুরিকাঘাতে মারা যান সাম্য। তিনি শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী এবং স্যার এ এফ রহমান হল ছাত্রদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক ছিলেন।
গণেশ চন্দ্র বলেন, “গত দুই দশকে ঢাবিতে কোনো খুন হয়নি। অথচ এই প্রশাসন আসার পর নয় মাসে দুটি খুন ঘটল। প্রশাসন কি দায় এড়াতে পারে?”
তিনি আরও বলেন, “উপাচার্য দাবি করেন, তার সিভি ৩৬ পৃষ্ঠার। কিন্তু পরশু রাতে তার বাসভবনের সামনে যে বালখিল্য আচরণ তিনি করলেন, তাতে বোঝা যায় তার ডিগ্রির গভীরতা কতটুকু।”
প্রক্টরের পদত্যাগ দাবি করে গণেশ চন্দ্র বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তার দায়িত্ব যার, সেই প্রক্টর ব্যর্থ। আজকের মধ্যে ব্যবস্থা না নিলে আমরা আরও কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হব।”
এই অবস্থান কর্মসূচিতে কেন্দ্রীয় ছাত্রদল সভাপতি রাকিবুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন, ঢাবি ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাহিদুজ্জামান শিপনসহ বিভিন্ন কলেজ ও মহানগরের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।