Friday 16 May, 2025

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধে দাবি সাদরে বরণ, জবিয়ানদের ‘লাঠিচার্জ’

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশিত: 22:22, 15 May 2025

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধে দাবি সাদরে বরণ, জবিয়ানদের ‘লাঠিচার্জ’

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধে দাবি সাদরে বরণ, জবিয়ানদের ‘লাঠিচার্জ’

বিএনপি সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী প্রশ্ন করেছেন, আন্দোলনকারীদের সাদরে বরণ করে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ ঘোষণা করলেন কেন, কিন্তু জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের আবাসনের দাবিতে লাঠিচার্জ করলেন কেন। তিনি সাম্য হত্যাকাণ্ডকেও ‘রাজনৈতিক’ বলছেন।

বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে উত্তরাঞ্চল ছাত্র ফোরামের মানববন্ধনে এসব কথা বলেন রিজভী। সেখানে তিনি অভিযোগ করেন, জাতীয় সঙ্গীতের পক্ষে ফেসবুকে পোস্ট দেওয়ার কারণে সাম্য হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হতে পারে।

রিজভী বলেন, “তিনজন ভবঘুরে সাম্যকে কেন হত্যা করবে? সাম্য তো সামান্য একটি পোস্ট দিয়েছিল—এটাই কি কারণ?”

তিনি এ ঘটনাকে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে কলঙ্কজনক অধ্যায় আখ্যা দেন।

তিনি আরও বলেন, “৫ই আগস্টের পর আমরা স্বস্তিতে থাকতে চেয়েছিলাম। তখন ক্যাম্পাসে ক্লাস-লেকচার নির্বিঘ্নে চলত। এখন কেন এখানে রক্ত ঝরছে?” রিজভী প্রশ্ন তোলেন, বর্তমান যারা গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছে, তারা কেন এসব অভিযোগ উপেক্ষা করছে।

রিজভী মনে করিয়ে দেন, সাম্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা ইন্সটিটিউটের ২০১৮–১৯ সেশনের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি স্যার এ এফ রহমান হল ছাত্রদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।

ছাত্রদলের সাবেক এই সভাপতি পুলিশের উদ্দেশে বলেন, “ভবঘুরেদের ধরা হয়েছে, কিন্তু মানুষের বিশ্বাস ফিরবে না যতক্ষণ সঠিক তদন্ত হয় না।” তিনি আবরার হত্যাকাণ্ড উদ্ধৃত করে প্রশাসনের এমন ব্যর্থতাকে বারবার তুলে ধরেন।

রিজভী উপাচার্যের পক্ষেও তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, “আপনি প্রথমে লাশ দেখলে ভালো হতো, লিখিত অভিযোগের বদলে বাস্তব পদক্ষেপ নিতেন।”

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকেও আক্রমণ করে রিজভী বলেন, “যখন এনসিপি যমুনার দিকে গেল, তখন তাদের সাদরে বরণ করা হলো। আর জগন্নাথের ছাত্ররা গেল মাত্র পেল লাঠিচার্জ-টিয়ার গ্যাস।”

তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন, “দেশে ষড়যন্ত্র বাড়ছে, সঠিক দিক-নির্দেশনা না দিলে জনগণ আপনাদের ক্ষমতাচ্যুত করবে।”

মানববন্ধনে ‘আমরা বিএনপি পরিবারের’ আহ্বায়ক আতিকুর রহমান রুমন, সদস্য সচিব মোকছেেদুল মোমিন মিমুন, সাবেক ছাত্রনেতা মেহবুব মাসুম শান্ত, ওমর ফারুক কাওসার ও তৌহিদ আওয়ালসহ উত্তরাঞ্চল ছাত্র ফোরামের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।