Wednesday 14 May, 2025

কিশোর গ্যাং না দমিয়ে পুলিশকে নিরস্ত্র করতে যাচ্ছে ইউনূস সরকার

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশিত: 22:38, 12 May 2025

কিশোর গ্যাং না দমিয়ে পুলিশকে নিরস্ত্র করতে যাচ্ছে ইউনূস সরকার

কিশোর গ্যাং না দমিয়ে পুলিশকে নিরস্ত্র করতে যাচ্ছে ইউনূস সরকার

গত বছরের জুলাই-আগস্টে নন-লিথ্যাল ওয়েপন ব্যবহারের পরেও পুলিশের গুলির ব্যবহার নিয়ে তীব্র সমালোচনা হয়। সেই প্রেক্ষিতে এখন পুলিশের হাতে আর ‘মারণাস্ত্র’ না রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইউনূস সরকার। পাশাপাশি ৫ই আগস্টের আন্দোলনের পর মাথাচাড়া দেওয়া সশস্ত্র কিশোর গ্যাং নিয়েও উদ্বেগ বাড়ছে।

১২ই মে, সোমবার সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, “সিদ্ধান্ত নিয়েছি, পুলিশের হাতে যাতে আর কোনো মারণাস্ত্র না থাকে। এগুলো জমা দিয়ে দিতে হবে… অস্ত্র থাকবে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সদস্যদের হাতে।”

তবে ‘মারণাস্ত্র’ বলতে ঠিক কী বোঝানো হয়েছে, তা পরিষ্কার করেননি তিনি। পরে অবশ্য বলেন, “পুলিশের কাছে রাইফেলও থাকবে না, তা নয়। তাদের কাছে রাইফেল থাকবে।”

গত বছরের জুলাই-আগস্টে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে নানা বিতর্ক রয়েছে। সবকিছু মাথায় রেখে ইউনূস সরকার এই সিদ্ধান্ত নিচ্ছে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “সাধারণ অপারেশনে তো পুলিশের মারণাস্ত্রের দরকার নেই। আমি বলেছি, এপিবিএনের কাছে মারণাস্ত্র থাকবে। এপিবিএন তো পুলিশেরই অংশ।”

‘এই সিদ্ধান্ত কবে থেকে কার্যকর হবে’—জানতে চাইলে তিনি বলেন, “আজ মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত হলো। বাস্তবায়ন করতে তো সময় লাগবে।”

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়-সংশ্লিষ্ট প্রধান উপদেষ্টা খোদা বখশ চৌধুরীর নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটিই পুলিশকে মারণাস্ত্র না দেওয়ার বিষয়টি দেখবে বলে জানান উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর।

এদিকে, দেশজুড়ে সশস্ত্র কিশোর গ্যাংয়ের দৌরাত্ম ক্রমশ বাড়ছে। তুচ্ছ বিষয়ে হত্যা এবং নৃশংস হামলার ঘটনা প্রতিদিনই ঘটছে। কিন্তু এসব দমন করতে পুলিশের তৎপরতা উল্লেখযোগ্য নয় বলে সচেতন মহলের অভিমত। এসময় পুলিশকে নিরস্ত্র করতে গিয়ে কিশোর গ্যাংকে আরও উৎসাহিত করা হচ্ছে কিনা, এ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে ইতিমধ্যে।