
বাংলাদেশ-সিঙ্গাপুরের ম্যাচের টিকেট নিয়ে বাফুফের বড় ‘জালিয়াতি’
আগামী ১০ জুন বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ও সিঙ্গাপুরের মধ্যকার বহুল প্রতীক্ষিত এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের ম্যাচ। নতুন তারকা হামজা চৌধুরী ও শমিত সোমরার জাতীয় দলে অন্তর্ভুক্তি ঘিরে ম্যাচটি নিয়ে দর্শকদের মাঝে সৃষ্টি হয় বিপুল আগ্রহ।
এই আগ্রহকে পুঁজি করে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) অনলাইনে টিকিট বিক্রির ঘোষণা দেয়। তবে শুরু থেকেই বাফুফে অনুমোদিত অনলাইন প্ল্যাটফর্ম টিকটিফাই কার্যত অকার্যকর হয়ে পড়ে। হাজারো দর্শক সাইটে ঢুকতে ব্যর্থ হন এবং সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপকভাবে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
এমন পরিস্থিতিতে বাফুফে দাবি করে, মাত্র তিন দিনের মধ্যে সব টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে। তবে সাইটে প্রবেশ করতে না পারা অধিকাংশ দর্শকের অভিযোগ, তারা একটি টিকিটও কিনতে পারেননি।
বাফুফে আরও জানায়, টিকটিফাই সাইটটি দুই দফা সাইবার হামলার শিকার হয়েছে, যার ফলে টিকিট বিক্রির স্বাভাবিক প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়।
এ পরিস্থিতিতে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন—টিকিট সত্যিই অনলাইনে বিক্রি হয়েছে কিনা, নাকি এর পেছনে রয়েছে অনিয়ম ও প্রভাবশালীদের প্রাধান্য।
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনে মঙ্গলবার বিকেলে টিকেটের সর্বশেষ তথ্য জানাতে গিয়ে কম্পিটিশন কমিটির সদস্য তাজওয়ার আউয়াল বলেন, ‘আমাদের ১৮ হাজার ৩০০ টিকিটের সবই বিক্রি শেষ। আমরা দেখেছি গতকাল রাত থেকে প্রতি ৫ মিনিটে ৩০ হাজার ইউজার অনলাইনে আসার চেষ্টা করেছিল। আমরা একটা কিউ সিস্টেম করেছিলাম। কালকেও দুবার সাইবার অ্যাটাক এসেছিল।’
কোন টিকেটই আর বাকি নেই বলে জানালেন তিনি, ‘ক্লাব হাউজ টু অনলাইনে সোল্ড আউট। বাকি যে হসপিটালিটি বক্স সেটা আগেই রবি একটা নিয়েছে। অন্য কর্পোরেট হাউজগুলোও নিয়েছে। সব সোল্ড আউট হয়ে গেছে।’
এদিকে টিকেট কিনতে না পেরে হতাশ দর্শক। বাফুফের সামনে গিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে গণমাধ্যমকে সাইফুল আমিন নামে এক দর্শক বলেন, ‘এটা তো পরিস্কার জালিয়াতি।
তাদের দেওয়া সাইটে আমরা কেউ ঢুকতে পারলাম না, এখন বলা হচ্ছে টিকেট শেষ। কারা কিনল তবে?’ দর্শকরা অভিযোগ করেন টিকেট কালোবাজারিদের হাতে দিয়ে দেওয়া হয়েছে। ইচ্ছে করে সাইট ডাউন করে এসব অপকর্ম করেছেন বাফুফের কর্তারা।