
হঠাৎ সারাদেশ নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলেছে সেনাবাহিনী
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেশের বিভিন্ন এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে। গুরুত্বপূর্ণ সরকারি প্রতিষ্ঠান ও স্থাপনাগুলোকে নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে বলে জানা গেছে। সাম্প্রতিক রাজনৈতিক ও সামাজিক অস্থিরতার প্রেক্ষাপটে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সেনাবাহিনীর একটি সূত্র জানিয়েছে, গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোতে সেনা মোতায়েন করা হয়েছে এবং নিয়মিত টহল জোরদার করা হয়েছে। জনসাধারণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং সরকারি সম্পত্তি রক্ষায় সেনাবাহিনী সর্বোচ্চ সতর্কতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছে।
এছাড়াও, মিথ্যা তথ্য বা গুজবে আতঙ্কিত না হয়ে সেনাবাহিনীর সঙ্গে সহযোগিতা করার জন্য জনসাধারণের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।
সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে বিভিন্ন মহলে আলোচনা চলছে। বিশেষ করে, ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে সংঘটিত সহিংসতার পর থেকে দেশে নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে সেনাবাহিনীর এই পদক্ষেপকে অনেকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখছেন।
নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা মনে করছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে দেশের স্থিতিশীলতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সেনাবাহিনীর ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান এর আগে এক বিবৃতিতে বলেছিলেন, “বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেশের গর্ব ও আস্থার প্রতীক। দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় আমরা সর্বদা প্রস্তুত।”
এদিকে, সেনাবাহিনী জনগণকে আতঙ্কিত না হয়ে শান্ত থাকার পরামর্শ দিয়েছে এবং যেকোনো জরুরি পরিস্থিতিতে সেনাবাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য বিভিন্ন এলাকায় ক্যাম্পের নম্বর প্রকাশ করেছে। উদাহরণস্বরূপ, মতিঝিল, সেগুনবাগিচা, কাকরাইল, শান্তিনগর, ইস্কাটন, রাজারবাগ, পল্টন, গুলিস্তান ও পুরান ঢাকার জন্য যোগাযোগ নম্বর হলো ০১৭৬৯০৯২৪২৮ এবং ০১৭৬৯০৯৫৪১৯।
নিরাপত্তা বৃদ্ধির এই পদক্ষেপকে অনেকে ইতিবাচক হিসেবে দেখলেও, কেউ কেউ এটিকে রাজনৈতিক অস্থিরতার ইঙ্গিত হিসেবে বিবেচনা করছেন। তবে সেনাবাহিনী স্পষ্ট করেছে যে, তাদের একমাত্র লক্ষ্য দেশের শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।