
যুক্তরাষ্ট্রে ইসরাইলপন্থি বিক্ষোভে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ, আহত ৬
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডো অঙ্গরাজ্যের বোল্ডার শহরে ইসরায়েলপন্থি এক সমাবেশে আগুনে বোমা হামলায় অন্তত ৬ জন আহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় ১লা জুন, রোববার দুপুরে এই হামলার ঘটনা ঘটে।
গাজায় বন্দি ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তির দাবিতে চলা সমাবেশে হঠাৎ এক ব্যক্তি ‘ফিলিস্তিন মুক্ত করো’ বলে চিৎকার করে ভিড়ের মধ্যে আগুনে বোমা ছোড়েন।
হামলাকারীর নাম মোহাম্মদ সাবরি সোলাইমান (৪৫)। হামলার পর তাকে আটক করে হাসপাতালে নেওয়া হয়।
আটক সোলাইমান একজন মিশরীয় নাগরিক। তিনি জো বাইডেন প্রেসিডেন্ট থাকাকালে যুক্তরাষ্ট্রে আসেন। ভিসার মেয়ার শেষ হয়ে যাবার পরেও তিনি অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে থেকে গেছেন বলে জানায় হোমল্যান্ড সিকিউরিটি এবং মার্কিন ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট কর্তৃপক্ষ।
এফবিআই জানিয়েছে, এটি একটি পরিকল্পিত সন্ত্রাসী হামলা এবং তারা বিষয়টি জাতিগত বিদ্বেষমূলক অপরাধ হিসেবে তদন্ত করছে। আহতদের বয়স ৬৭ থেকে ৮৮ বছরের মধ্যে; একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
ডেনভার এফবিআইয়ের প্রধান মার্ক মিচালেক জানান, এটি একটি উদ্দেশ্যমূলক সহিংসতা, যা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
বোল্ডার পুলিশের প্রধান স্টিফেন রেডফার্ন বলেন, ‘আমরা নিশ্চিত যে ঘটনার সঙ্গে জড়িত একমাত্র সন্দেহভাজনকে আটক করা হয়েছে।’
ঘটনাটি ঘটে বোল্ডারের পিয়ার্ল স্ট্রিট মলে, যা ইউনিভার্সিটি অব কলোরাডোর পাশের একটি জনবহুল কেনাকাটার এলাকা। ‘রান ফর দেয়ার লাইভস’ নামের একটি সংগঠন প্রতি সপ্তাহে ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তির দাবিতে সমাবেশ করে আসছিল। এই প্রথম তাদের কর্মসূচিতে এমন সহিংস হামলা হলো।
ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, গায়ে শার্টবিহীন এক ব্যক্তি (সোলাইমান) স্প্রে বোতল হাতে নিয়ে সমাবেশের জায়গায় ঘুরছেন এবং আগুন জ্বলছে। তাকে ‘জায়নবাদীরা নিপাত যাক’, ‘ফিলিস্তিন মুক্ত করো’, ‘তারা খুনি’ ইত্যাদি বলতে শোনা যায়।
ঘটনাটি এমন এক সময় ঘটল, যখন যুক্তরাষ্ট্রে গাজা যুদ্ধকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা চরমে। যুদ্ধবিরোধী বিক্ষোভকারীদের প্রতি ট্রাম্পপন্থী রক্ষণশীলরা কঠোর অবস্থান নিচ্ছে। অভিযোগ ছাড়া গ্রেপ্তার, বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিল বন্ধসহ নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
ট্রাম্পের সাবেক উপপ্রধান স্টাফ স্টিফেন মিলার জানান, সোলাইমান ভিসার মেয়াদ শেষ হলেও অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছিলেন এবং বাইডেন প্রশাসন তার কাজের অনুমতি দিয়েছিল।