
কারাগারে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার মৃত্যু,নির্যাতনের অভিযোগ স্বজনদের
কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে ‘হঠাৎ অসুস্থ’ হয়ে কুমিল্লা মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি ইমাম হোসেন বাচ্চু (৪৪) ‘বুকের ব্যথায়’ মারা গেছেন। এই মৃত্যুর ঘটনাকে ঠান্ডা মাথায় হত্যা বলে অভিযোগ করেছেন পরিবার ও স্বজনরা।
৩১শে মে, শনিবার বুকে ব্যথা অনুভব করলে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর সকাল ৯টায় চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার হালিমা খাতুন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নিহত ইমাম হোসেন বাচ্চু কুমিল্লা মহানগরীর মোগলটুলি এলাকার গোলাম মাওলার ছেলে। তিনি কুমিল্লা মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি ছিলেন।
তার হঠাৎ বুকের ব্যথায় মৃত্যুর ঘটনাটি পরিবার, স্বজন ও রাজনৈতিক সহকর্মীরা মেনে নিতে পারছেন না। এ ঘটনাকে তারা ঠান্ডা মাথায় হত্যা বলে অভিযোগ করেছেন।
আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা জানান, আদালত প্রাঙ্গনে জয় বাংলা স্লোগান দেওয়ার কারণে ইতিপূর্বে আদালতের এজলাসে বিচারকের সামনেই বাচ্চুকে গলা টিপে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল। সেদিন কোনোমতে প্রাণে বাঁচলেও আজ কারাগারে তাকে হত্যা করা হয়েছে।
কারণ হিসেবে তারা জানান, ইমাম হোসেন বাচ্চু অত্যন্ত নিবেদিতপ্রাণ কর্মী ছিলেন। শেখ হাসিনার রাজসিক প্রত্যাবর্তন হবে, এভাবে প্রকাশ্যেই দৃপ্ত শপথে কথা বলতেন বাচ্চু। ৫ই আগস্টের পর তিনি রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড থামাননি, বরং জোরদার করেছিলেন। এজন্যই তাকে গ্রেপ্তার এবং পরে আদালতে হত্যা করা হয়েছে।
তবে সিনিয়র জেল সুপার হালিমা খাতুনের দাবি, সকালে কারাভ্যন্তরে গুরুতর অসুস্থ হয়ে অচেতন হয়ে পড়েন বাচ্চু। পর তাকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে পাঠানো হলে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা বাচ্চুকে হত্যা ও হত্যাচেষ্টার দুটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার পুলিশ গত ৩০শে মার্চ আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠান।