
সরকার বিএনপিকেও নিশ্চিহ্ন করতে চায়: মির্জা আব্বাস
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস অভিযোগ করেছেন, এই সরকার বিএনপিকেও নিশ্চিহ্ন করতে চায়। তিনি বলেন, সরকার দেশ পরিচালনায় বিদেশিদের ওপর নির্ভর করছে এবং জনগণের দৃষ্টি সরাতে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ইস্যু তৈরি করছে।
“বিএনপিকে রাজনৈতিকভাবে নিশ্চিহ্ন করাই যেন সরকারের প্রধান লক্ষ্য,” এমন মন্তব্য করেন মির্জা আব্বাস।
সম্প্রতি বিদেশিদের আনাগোনা বিষয়ে তিনি বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে সন্দেহভাজন বিদেশি নাগরিকদের আগমন ঘটছে এবং তারা বিভিন্ন উদ্দেশ্য নিয়ে আমাদের দেশে প্রবেশ করছে।
সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে বিএনপির প্রয়াত নেতা নাসির উদ্দিন আহমেদ পিন্টুর ১০ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক স্মরণসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
নিজের দেশে যেতে হলেও পাসপোর্ট ভিসা লাগবে কিনা সরকারের উদ্দেশে এই প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, সেন্ট মার্টিন, সাজেক ও বাঘাইছড়ি আমার দেশ। এই এলাকায় সাধারণ মানুষের যাতায়াতে বাধা কেন পাবো। তিনি বলেন “আমি কেন নিজের দেশের এসব জায়গায় যেতে পারব না? পাসপোর্ট-ভিসা লাগবে নাকি?”
মির্জা আব্বাস আরো বলেন, “আমরা লক্ষ্য করেছি, এ দেশে অনেক সন্দেহভাজন বিদেশির আগমন ঘটেছে। তারা বিভিন্ন সময় নানা মিশন নিয়ে আসে।”
তিনি দাবি করেন, সরকারের ইচ্ছাকৃত অপকর্মের কারণেই এসব ঘটছে এবং জনগণের দৃষ্টি অন্যদিকে সরানোর চেষ্টা চলছে।
সরকারকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, “সরকারকে প্রমাণ করতে হবে তারা দেশপ্রেমিক। আমি যদি ভুল বলি, আমাকে শাস্তি দেওয়া হোক, তাও মেনে নেব। কিন্তু মনে হচ্ছে তারা দেশপ্রেমিক না।”
সভায় মির্জা আব্বাস প্রশাসনে বিএনপিপন্থী কর্মকর্তাদের অপসারণ এবং জামায়াত বা আওয়ামী লীগ সমর্থকদের স্থলাভিষিক্ত করার অভিযোগ তোলেন।
তিনি বলেন, “থানা, পুলিশ, কোর্ট-কাচারি, এমনকি সচিবালয়েও এসব পরিবর্তন চোখে পড়ছে।”
শাহবাগে এনসিপি-সমর্থকদের মিছিলকে নাটক আখ্যা দিয়ে তিনি প্রশ্ন তোলেন, “সরকারি অনুমতি ছাড়া সেই এলাকায় মিছিল কীভাবে সম্ভব?”
সেন্ট মার্টিন, সাজেক ও বাঘাইছড়ি এলাকায় সাধারণ মানুষের যাতায়াতে বাধার অভিযোগ তুলে মির্জা আব্বাস প্রশ্ন করেন, “আমি কেন নিজের দেশের এসব জায়গায় যেতে পারব না? পাসপোর্ট-ভিসা লাগবে নাকি?”
‘মানবিক করিডোর’ বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, “এই শব্দের কোনো আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি নেই। বাংলাদেশের অভ্যন্তরে কোনো করিডোর বা প্যাসেজ জনগণের সম্মতি ছাড়া দেওয়া চলবে না।”