Wednesday 21 May, 2025

ক্ষমা চাওয়ার জন্য হাসনাত আব্দুল্লাহকে কুমিল্লা বিএনপির আল্টিমেটাম

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশিত: 22:35, 19 May 2025

ক্ষমা চাওয়ার জন্য হাসনাত আব্দুল্লাহকে কুমিল্লা বিএনপির আল্টিমেটাম

ক্ষমা চাওয়ার জন্য হাসনাত আব্দুল্লাহকে কুমিল্লা বিএনপির আল্টিমেটাম

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ বিএনপির রাজনীতি নিয়ে ‘অবমাননাকর’ মন্তব্য করেছেন—এ অভিযোগ তুলে কুমিল্লা বিএনপি তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।

বিএনপি নেতারা সতর্ক করে বলেছেন, হাসনাত আব্দুল্লাহ দ্রুত ও নিঃশর্তভাবে দলটির কাছে ক্ষমা না চাইলে তাঁকে কুমিল্লায় ‘অবাঞ্ছিত’ ঘোষণা করা হবে।

১৯শে মে, সোমবার বিকেলে কুমিল্লা প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে আল্টিমেটাম দেন কুমিল্লা বিএনপির নেতারা। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির কুমিল্লা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ মো. সেলিম ভূঁইয়া।

তিনি বলেন, “গত ১৬ই মে কুমিল্লার একটি অনুষ্ঠানে এনসিপি নেতা হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, কুমিল্লায় বিএনপির রাজনীতি আওয়ামী লীগের টাকায় চলে। এই বক্তব্য হাস্যকর ও রাজনৈতিক শালীনতার পরিপন্থী। তিনি রাজনৈতিকভাবে অপরিপক্ক, এমন মন্তব্য দায়িত্বজ্ঞানহীন ও মানসিক ভারসাম্যহীনতার লক্ষণ।”

সেলিম ভূঁইয়া আরও বলেন, “রাজনীতিতে মতভিন্নতা থাকতেই পারে, কিন্তু অন্য দল ও নেতাদের সম্মান না দেখিয়ে ব্যক্তিগত আক্রমণ রাজনৈতিক শিষ্টাচারের লঙ্ঘন। হাসনাত আব্দুল্লাহর এমন মন্তব্যে কুমিল্লার বিএনপি নেতাকর্মীরা ক্ষুব্ধ। যদি তিনি এক সপ্তাহের মধ্যে ক্ষমা না চান, তাহলে তাকে কুমিল্লায় কোনো কর্মসূচিতে অংশ নিতে দেওয়া হবে না।”

তবে এখনো তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়নি জানিয়ে তিনি বলেন, “আমরা তাকে সময় দিচ্ছি। দুঃখ প্রকাশের সুযোগ রাখছি। কিন্তু যদি তিনি কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে ক্ষমা না চান, আমরা বাধ্য হবো তাকে কুমিল্লায় অবাঞ্ছিত ঘোষণা করতে।”

এসময় বিএনপির কর্মীরা উত্তেজিত হয়ে হাসনাত আব্দুল্লাহর উদ্দেশে গালাগাল দেন। ‘কালাপাডা করিসনা আর জুলাই জুলাই, এবার খাবি গণধোলাই’ স্লোগান দিলে বিএনপি নেতাদের হস্তক্ষেপে কর্মীদের উত্তেজনা প্রশমন করা হয়।

সরকারের ভূমিকাও এই সংবাদ সম্মেলনে সমালোচিত হয়।

সেলিম বলেন, “সরকার অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের পরিবর্তে হাসনাত আব্দুল্লাহর মতো অপরিণত নেতৃত্বকে সামনে এনে রাজনৈতিক পরিবেশকে আরও নষ্ট করছে। জনগণ একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন চায়, আর সরকার নির্বাচনী প্রক্রিয়া বিলম্বিত করে আস্থা হারাচ্ছে।”