
এবার সিরাজগঞ্জে নৃত্যশিল্পী সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার
সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলায় এক নৃত্যশিল্পী সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। এ ঘটনায় পুলিশ মো. রফিকুল ইসলাম নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে। বৃহস্পতিবার রাতে তালম ইউনিয়নের রাজনীর হাট উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় নৃত্য পরিবেশনের প্রলোভন দেখিয়ে তাকে ডেকে নিয়ে এই নৃশংস অপরাধ সংঘটিত হয়। এ ঘটনা সমাজে ধর্ষণের ক্রমবর্ধমান ঘটনার প্রতি গভীর উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।
পুলিশ ও ভুক্তভোগীর পরিবার সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার শেরপুর সদর থেকে রফিকুলসহ কয়েকজন অভিযুক্ত ওই নৃত্যশিল্পীকে তাড়াশে নিয়ে আসে। পরে রানীর হাট এলাকায় মো. কফিল উদ্দিন, রফিকুল ইসলাম, এনামুল হক এনাসহ ৪-৫ জন তাকে সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের পর ভুক্তভোগীকে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় অপরাধীরা। স্থানীয়দের সহায়তায় তিনি উদ্ধার হন এবং পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন।
তাড়াশ থানার ওসি মো. জিয়াউর রহমান জানান, গ্রেপ্তার রফিকুলকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। মামলার তদন্ত চলছে এবং বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ভুক্তভোগী নৃত্যশিল্পীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।
এই ঘটনা দেশে ধর্ষণের ক্রমবর্ধমান ঘটনার একটি ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরে। নারীর প্রতি সহিংসতা, বিশেষ করে ধর্ষণের ঘটনা সমাজের নিরাপত্তা ও মানবাধিকারের প্রতি গুরুতর হুমকি। সম্প্রতি বিভিন্ন স্থানে এ ধরনের অপরাধের ঘটনা বৃদ্ধি পাওয়ায় সামাজিক সচেতনতা, কঠোর আইন প্রয়োগ এবং দ্রুত বিচারের প্রয়োজনীয়তা আরও জোরালো হয়ে উঠেছে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ধর্ষণের মতো জঘন্য অপরাধ প্রতিরোধে শুধু আইনি ব্যবস্থা নয়, সামাজিক মূল্যবোধ ও শিক্ষার প্রতি গুরুত্ব দিতে হবে। নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার, সমাজ ও পরিবারের সমন্বিত প্রচেষ্টা অপরিহার্য। এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে জনসচেতনতা বৃদ্ধি এবং অপরাধীদের দ্রুত শাস্তির ব্যবস্থা নিশ্চিত করা এখন সময়ের দাবি।
সমাজের প্রতিটি স্তরে নারী নিরাপত্তার বিষয়ে সোচ্চার হওয়া এবং এই অপরাধের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান গ্রহণ না করলে আমাদের সমাজের নৈতিক অবক্ষয় আরও ত্বরান্বিত হবে। এখনই সবাইকে একযোগে এই অপরাধের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।