Tuesday 06 May, 2025

স্বাস্থ্য কমিশন বন্ধের সুপারিশ খোদ স্বাস্থ্য কমিশনের

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশিত: 23:12, 5 May 2025

স্বাস্থ্য কমিশন বন্ধের সুপারিশ খোদ স্বাস্থ্য কমিশনের

স্বাস্থ্য কমিশন বন্ধের সুপারিশ খোদ স্বাস্থ্য কমিশনের

কোনো কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য কমিশন রাখার প্রয়োজন নেই বলে মনে করছে বর্তমানে কাজ করা স্বাস্থ্য সংস্কার কমিশন। তারা বলেছেন স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নে বিভাগভিত্তিক ১১টি আঞ্চলিক স্বাস্থ্যসেবা কর্তৃপক্ষ গঠনই হবে সবচেয়ে কার্যকর উপায়।

আজ ৫ই মে, সোমবার প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের কাছে জমা দেওয়া ৪৪ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনে কমিশন বলেছে, স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থাপনার জন্য বিকেন্দ্রীকরণ দরকার। এতে স্থানীয় বাস্তবতা অনুযায়ী পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন সম্ভব হবে। এসব কর্তৃপক্ষের আওতায় থাকবে বাজেট, মাননিয়ন্ত্রণ, সেবা প্রদান, তদারকি ও জবাবদিহির দায়িত্ব।

২০২৪ সালের ৩রা ডিসেম্বর গঠিত এই ১২ সদস্যের কমিশন বলছে, বর্তমান কেন্দ্রীয় কমিশনের ধাঁচ ভবিষ্যতের জন্য উপযোগী নয়। তারা নিজেরা কেন্দ্রীয় কাঠামোয় কাজ করে দেখেছে, স্থানীয় পর্যায়ের বাস্তবতা বুঝে কার্যকর সিদ্ধান্ত নেওয়া এমন কাঠামোয় কঠিন।

প্রতিবেদনে সংবিধান সংশোধন করে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবাকে মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার প্রস্তাব এসেছে। পাশাপাশি স্বাস্থ্যখাতে সরকারের মোট বাজেটের অন্তত ১৫ শতাংশ বরাদ্দ রাখার কথা বলা হয়েছে।

কমিশন আরও বলেছে, একজন চিকিৎসক যেন দিনে সর্বোচ্চ ৫০ জন রোগী দেখেন এবং প্রতিজন রোগীর জন্য অন্তত ১০ মিনিট সময় বরাদ্দ করেন, সেটি বাধ্যতামূলক করা উচিত। যদিও দেশে এখনও চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীর ঘাটতি রয়েছে। বর্তমানে প্রতি হাজার জনে চিকিৎসক মাত্র ০.৬৭ জন এবং নার্স ও মিডওয়াইফ মিলিয়ে ০.৫৬ জন।

স্বাস্থ্য কমিশনের মেয়াদ শেষ হয়েছে ৩০ এপ্রিল। কমিশন বলেছে, তাদের কাজ ছিল একটি রূপরেখা তৈরি করা। বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেওয়া উচিত বিকেন্দ্রীকৃত কর্তৃপক্ষের হাতে।